যে ছেলের নিজের গোড়ালির ময়লার দিকেও ফিরে
তাকাবার সময় নেই, যে মেয়েটা অপরা তড়িতের মতো
নানা অকথ্যে স্পৃষ্ট – নিদারুণ নবারুণ কোনো কোনো
অভিঘাতে তাদেরই খোড়ো চাল ঝুঁকে পড়ে
পরার্থপরতার দিকে।
এ বয়সে ওরকম কাত হয়ে পড়াই ধর্ম। যেখানে যাই
পুরনো হোক এই ধর্মটা এখনো নতুন
আকাশে প্রত্যক্ষভাবে এমন কোনো ধর্মচূড়া নেই।
তার বদলে একটি মধ্যাহ্ন আছে। তার চেয়ে উঁচু
কেউ নেই। তাই ভরদুপুরবেলা মানুষ যেন কিঞ্চিৎ
হয়ে হাঁটে।
মানুষের এই কৌণিকতা ওরা অতীন্দ্রিয় খুঁটি দিয়ে
সামলে রাখে
ওদের মধ্যে আছে অন্নদা-শঙ্করের ঘনত্বের মতোই
হাইড্রোজেন-হিলিয়মেরও ঘনত্ব। চাইলে ওরা
অনন্তকাল ওদের আলোক-সাম্প্রতিক জাজ্জ্বল্যমান
রেখে যেতে পারে
তবু মেয়েটি মুখ ঢেকে মাঝে মাঝে কাঁদে আর
ছেলেটি তার গোঁড়ামির ময়লার দিকে ফিরে ফিরে চায়
Comments