[কথকের নির্লিপ্ত ভূমিকামাত্র]
ক্রমশ উন্মাদ হয়ে উঠছিলেন অন্ধ-ডিরেক্টর।
ধাতু-সমুদ্রের বুক থেকে ভেসে আসছিল লবণাক্ত হাওয়া।
বালুতটে আলো নিভে গেছে; যে সব শঙ্খ একদিন উঠে এসেছিল তটে
আজ তারা ফিরে যাচ্ছে জলের গভীরে। তাদের ভেতর থেকে ভেসে আসছে
মৃত-অশ্বের হ্রেষা আর রক্ত-ফোয়ারা
যে পাখি তথ্যচিত্রের, আদি ধাতব-বিহগ ধাতু-লহরির বুকে
ঠোঁট আছড়ে-আছড়ে ঢুকে পড়েছিল ডিরেক্টরের বুকের মধ্যে…
[সামান্য বিরতি’র পর তবু দেখা যাবে], সেখানে শালের জঙ্গলে
শেষ হয়ে গেছে রেলপথ। রৌদ্র-জলে ধুয়ে যাওয়া রথের সংসার
তার বুকের মধ্যে কার যেন সংলাপ ভুলে যাওয়া, কার যেন মনে পড়া
শেষ দৃশ্যের কথা— অন্ধকার ধাতুর সমুদ্রে খসে পড়া শেষ তারার দৃশ্য—
নিজেকে দোহন করে কেউ রেখে গেছে এক ফোঁটা রক্তপিযূষের মায়া
Kommentare