আজকাল কিছু বিশেষণ পাকাপাকি ব্যবস্থা করে নিচ্ছে কাগজে দেওয়ালে
অসন্তোষের আগে চাপা, জাতীয়তাবাদের আগে উগ্র, নকশালের আগে আর্বান।
গোলাম সাংবাদিক প্রবল উৎসাহে সাহেব-বিবির বিবাহ বিচ্ছেদের সম্ভাবনা ভাসিয়ে দেয়
দক্ষ জাদুকরের মত।
প্রিজমের সাতটা রঙ ছড়িয়ে দেওয়া এক আশ্চর্য বুদবুদ কেমন ফুলেই চলেছে
ফাটলে কতটা তীব্র শব্দ হবে– এই চিন্তা থেকে সরে এসে কিছুটা অস্পষ্টবাদী হই।
কিছু পাখি অথবা গ্রীক পৌরাণিক চরিত্রের নাম মনে করার চেষ্টা করি
বোঝার চেষ্টা করি– না লিখে রাখলে আদৌ কোন ঠিকানাটা মনে রাখতে পারব শেষমেশ।
মেয়েটির হাতে বীণা অথবা বালকের পিঠে পায়রার মত নরম ডানা বড়ো ভালো মানাত–
এইসব হাওয়া-মেঠাই ভাসাতে পারছি না মেঘের মত।
দেওয়ালে দেওয়ালে স্প্রে পেন্ট দিয়ে রাতের অন্ধকারে অ্যানার্কির চিহ্নও আঁকছি না।
বোধহয় মাঝে মাঝে হিংসে করছি পূর্ব পুরুষদের।
ঋতুপরিবর্তনের স্নিগ্ধতাকে উপেক্ষা করেই টপ টপ করে ক্ষোভ জমছে হাঁড়ির ভেতর।
আর কিছু না, নিজেকে ক্রমশই বামন হয়ে যেতে দেখি তাঁদের তুলনায়।
হই হই করতে করতে নিতান্ত অনিয়মেই কাটিয়ে দেওয়া সেই সব জীবনগুলো,
তাদের মত নির্মল আনন্দে চড়ুইভাতি না করতে পারার ব্যর্থতা... আর কিছু না।
Comments