top of page

আখতার সাহেব 

ছন্দম মুখোপাধ্যায় 

 

সব ঢুকে যাচ্ছে তোমার ভেতরে,

জিভে প্রেম নিয়ে দোদুল্যমান নৃশংস কুট্টিনী

#

সন্ত্রাস ধাবিত তার স্বপ্নে

নদীর মতো সে এখন চরাচরগামী

#

দুপাশে অসুখ ঘুরছে চারপায়ে 

#

কার জন্য এ সুখ আনলে ভৈরবী 

বরং সবটুকু অগভীর ধুয়ে 

গড়ে নাও তোমার উর্ধ্বরেতা ভালোবাসাকে

এইরূপ

বিশ্বজিৎ

 

কাউকে অধিক গুরুত্ব দিলে

অন্ধকার আরও কাছে আসে।

দাম চড়ায়,ক্ষয় বাড়ায়

ঋতুর ভেতর কত পরিবর্তন

 

তুমি মশা মারো।

সুসম বিন্যাসে হেঁটে যায় জীবন...

শ্মশানবট

শুভদীপ নায়ক

 

 

গুল্ম আর স্বপ্নে দ্যাখা ঘাসজমির ওপর

শ্মশানবটের কাছে এসে দাঁড়িয়েছিলে, 

পায়ের কাছে ফুটন্ত রোদ,

রাত্রিফুলের মরদেহ ঐ যে সম্মুখে ছড়িয়ে—

বুকডোবা জলে ভাসছে যেসব ঝরাপাতা

তুমি তাদের গ্রাহ্যই করলে না,

তোমার শুধু নোনাকথা আর স্বাদু উচাটনের স্মৃতি

সমস্ত সকাল জুড়ে মনে পড়ছে,

আমি তারই মতো কিছু একটা আঁকার চেষ্টা করি

আরেকটু এগিয়ে যাই, বাঁ-দিকে মনোলোভা

সবিস্তারে প্রবাদ-প্রজন্ম নিয়ে পাতার শরীরে

কীটের সংসার পেতেছে, 

ভুলগুলি তেমনই আছে, শুধরে যায়নি ।

ভ্রমণ কিংবা ভ্রম

প্রিয়াঙ্কা চৌধুরী

 

কৃতজ্ঞ তোমার কাছে, সকল প্রেমিক।

শুরু থেকে অদ্যাবধি।

 

উন্মাদনা, প্রেম, অপেক্ষা, উপেক্ষা 

এ সমস্ত ক্রম ক্রমে পার হতে হতে 

আসলেই শিখে নেওয়া খেয়াল ভ্রমণ 

আসলেই প্রথম স্তবকে থাকা ভ্রম 

মাঝামাঝি পথে এসে দিক খুঁজে পায় 

যে দিকে শুধুই স্থির শৈবাল আখর

স্থিতপ্রজ্ঞ অবয়ব আয়নার মতন।

এইযে ভ্রমণ

যার শেষে এসে স্মিত হাসি 

যতই বলেছ সবই ভালোবাসি ভালোবাসি

মনে মনে জেনেছি সে বৃত্তেই বিস্তার 

আরও একবার...

শূন্য 

সঞ্জনা রায় 

 

অনেকগুলো বৃত্ত সম্পূর্ণ করে এসে ঝুলে থাকা পাথরে বসে

জিরিয়ে নিচ্ছে সময়, তবু আমাদের শরীরে 

একটিও লিলি ফুলের সম্ভাবনা তৈরি হল না। 

এই সময়হীনতাকে কীভাবে কাজে লাগানোর কথা ভাবছ তুমি?

 

মৃত্যুর অভাবে ক্লান্ত কোনো প্রাচীন গ্রামে 

ঘুরে আসতে পারি আমরা, সেখানে সঙ্গিনীর জন্য  নিশ্ছিদ্র ঘর বানিয়ে দেয় পুরুষ---

স্বপ্নে, লাল আভা যাতে পেটের চামড়ায় এসে না লাগে। কিংবা, যদি চাও

ওই পাখিটির সঙ্গে খানিক গল্প করতে পারি, অফুরন্ত ঘুম 

ফুরিয়ে ফেলে সে এখন অন্ধ, গলায়

বসন্তের ভার। 

 

তোমার খোলা পিঠের ওপর উপুড় হয়ে শুয়ে আছি বহুক্ষণ হল, কই 

কোথাও তো নিয়ে যাওনি আমাকে?

bottom of page