top of page

মাসকাবারির খাতা

অভিষেক নন্দী

 

বড়ই ভুলো-মন তোমার। ওখানে সেটা সেখানে ওটা ফেলে রেখে খড়ির আল্পনায় আঁকা গর্তে ফিরে আসো প্রতিবার। উল্টে রাখা জলের গ্লাস তোমার বুকের ওপর শুয়ে পাখি হবার স্বপ্ন দেখতে থাকলে, তুমি ভুলে যাও প্রাচীন পিপাসা। কাঁচা গলায় নামতা শেখা একটা কণ্ঠের নকল করে, ভুলে গ্যাছো—চোখে চোখ ফেলে চুপ করে থাকা একটা বাদ্যযন্ত্র! এত ভুলো মন নিয়ে, চলে যাবার কথা বলো কী করে! হেয়ার ব্যান্ড, টিপের পাতা, পোষ্যের প্রিয় ডাক, জন্মদিনের সিঁড়ি বাদই দিলাম; নিজেকেই যদি ভুলে রেখে যাও আমার কাছে ফেলে, কে ছুটে গিয়ে তা ফেরত দিতে যাবে এই ঠান্ডা মৃতদেহটা ডিঙিয়ে!

ঋণী 

মনোনীতা চক্রবর্তী

 

আমার কবিতার মধ্যে গভীর রাত এখন; শ্যাম কানাড়ায় অখণ্ড পরাগ

উড়ে যাচ্ছে বৈজয়ন্তীমালার প্রিয়তম ঘুঙুরের কাছে...

কিছু-কিছু ধুলো পা-ছুঁয়ে থাকে

কিছু-কিছু পা ধুলো নয় শুধু মাটি ছুঁয়ে থাকে; কিছু-কিছু ছন্দ ঋণ রেখে যায়...আমি এই ঋণের কাছে আজীবন আমাকে বন্ধক রাখি!

 

আকাশ জুড়ে অখণ্ড অযুত পরাগ

বুকটা দাও; মাথাটা রাখি..

​​

তবু যারা ফুলের পাপড়ি খুলে খুলে দ্যাখে

শুভেন্দু দেবনাথ

 

আমাকে ছোঁয়ার আগে এখানে দাঁড়াও

জন্ম মৃত্যু থেকে দূরে প্রথম দেখার মুহুর্তে

প্রতিটি আলোর কণায় ভালোবাসা

প্রতিটি গোপন পাতায় কিশোরীর মন জেগে।

ফুলের প্রতিটি স্তবকে দেখো রহস্যের গভীরে মোড়া

কোরকের আশ্চর্য জরায়ু।

জল দাও,অন্ন দাও, মালির মতন অবলা আদর।

তবু যারা ফুলের পাপড়ি খুলে খুলে দ্যাখে

যেটুকু ছলনায় তোমাকে দগ্ধ করে পুড়ে যায়

স্পর্শের প্রান্তে অভিমানের ঝড় উঠলে

আত্মহননের ক্রীড়ায় গণতন্ত্রের দিকে ছুঁড়ে দেয় পরাজয়।।

bottom of page