top of page

হাওয়াঘর

সূর্যাভ বিশ্বাস

 

আমাদের যৌথ ছায়া ক্রমশ পেরিয়ে যাচ্ছে সাঁকোহীন অবকাশ ও অপচয়। নীল রঙের গুঁড়ো দীর্ঘ আঙুলের মাথা থেকে চুঁইয়ে পড়ছে জ্যোৎস্নার পিচ্ছিল খোলসের ওপর। যেভাবে কারুপাঠ নষ্ট হলে দিকভ্রষ্ট হয়ে পড়ে মাঝি। কুয়াশা আসলে একটা মগ্ন বৈভব। নিজের ভেতর ডুব, জলের শব্দ, শ্যাওলার চিৎকার।অনেক গভীরে ফেটে যাওয়া পদ্মের রেণু, এভাবেই একদিন ছড়িয়ে পড়ে তোমার ওই মায়ার শরীরে। তারপর বিলের ছায়ায় ভাসে বেওয়ারিশ বিকেলের দেহ। আমরা হাওয়া ভেঙে ঘর গড়ে তুলি। আমরা বুনে ফেলি সাঁতারের গোপন শরীর‌। সঙ্গিনী গান বেঁধে ফেললেই আখড়ায় নেমে আসে চাঁদ। একতারা ছুঁয়ে দেখি কুয়াশা ডিঙিয়ে যায় তক্ষক-ডাক। হাওয়াঘর জেগে থাকে শুধু অনন্ত শূন্যের বুকে...

 

 

 

 

 

 

তথ্যচিত্র

সোমনাথ বেনিয়া

 

কোন তৃপ্তিগুণে কাছে আসার বাসরঘর তৈরি করে মন

ঠোঁটের রঙে ছলাকলার তীব্র মোহময় পরিবেশ থাকে

সম্ভোগজনিত রোগে কোন অপরাধবোধের ভয় আসে

নিজের ভিতরে নিজেকে টানতে গেলে দীর্ঘশ্বাস কম পড়ে

এই শরীর কি লাটাই, সুতোর শেষ গিঁট কোথায় থাকে

পরাজয় থেকে জয়ের সেতুতে উঠে খাদের ঠিকানা কেন ...

প্রতারক না হ‌ওয়ার অনন্ত বিছানা নক্ষত্রজুড়ে বসে আছে

কোথায় সেই নাভিফুল, সুগন্ধ দিতে গিয়ে নিঃস্ব, দশমিক

যত রাতপাখি ডাকে শিশিরের ধোঁয়াটে ভূমিকার ডালে

কিছু প্রমোদ পালক ঝরে যাক পাতাবাহার গাছের প্রায় নীচে

না-হয় এই অন্যায় পুণ্যর কাঠগড়ায় থেকে বিচারে যাক

ভুলে থাক আদম আর ইভের সেই প্রত্নতাত্ত্বিক ভুলের ক্রোড়পত্র

একটি পূর্ণ দৈর্ঘ্যের তথ্যচিত্রে ধরা থাকুক ভরসার চিহ্নকাহিনী

 

 

তিনপাত্তি

রূপক চট্টোপাধ্যায়

 

১) চতুর মাছ, তীর ছুঁয়েই

অতলের দিকে চলে যায়।  চোখে পড়ে থাকে

রুপোলী ঝলক। কিছু সাদাসিধে ছাপোষা মাছকে

ধরে, জেলে পূর্ণ করে তার আঁশটে উল্লাস!

 

২) ভালোবাসা, পূর্ণ আস্থার নাম।

আর পূর্ণ আস্থা বলতে একটি বাবলা গাছ!

যার দেহে কাঁটার তীক্ষ্ণতা থাকলেও

তোমায় হলুদ ফুলের নাকছাবি দেখাবে ভোরবেলা।

 

৩) নিজেকে খাওয়ার সংকল্প নিয়ে

বহুদিন বুড়ি ছিলো অনাহারে।

ডোলভিরা খননের পর, তার ছেলেরা

বহুকষ্টে খুঁজে পেলো বুড়ির কয়লা শরীর। স্তন দিয়ে

তখনও ফোঁটা ফোঁটা সকাল টসকে পড়ছে!

 

 

চিলেকোঠা রেশ

মৌমিতা দে সেনগুপ্ত

 

নিরালা বিকেল, কুয়াশা শহর,আলোর কুহক

কী মায়াজাল বুনে চলে...

উদাস একলা ঘর,বড় আনমনা, তোলপাড় ;

মেঘ কুয়াশার নিবিড় সংলাপে ---

 

আলোকবর্ষ পুরনো গল্প যেন হঠাৎ

সাঁঝবাতি হয়ে জ্বলে ওঠে,

কথারা মাতাল,উথালপাথাল

অধরের তপ্ত সোহাগে...

 

চিলেকোঠা রেশ বইছে অনিঃশেষ

ভিজে যাওয়া সেই শহরের আঁকে-বাঁক...

স  ম্পা  দ  ক  ম  ণ্ড  লী

তৃণা চক্রবর্তী

সুরজিৎ পোদ্দার

সুন্দরম দাস

bottom of page