নীলছবি ও ভারতীয় সংস্কৃতি
সংস্কৃতি বন্দ্যোপাধ্যায়
ধীরে ধীরে শক্ত হচ্ছে কামড়
ঝড়ের ইশারা গড়িয়ে পড়লে
আকাশ জুড়ে,
দুই ভুরুর মাঝখানে
ঝুঁকে আসছে ঋতু।
যাবতীয় নাহওয়া চিৎকারগুলো
কিছুতেই সাদা করা যাচ্ছে না
তরল চিহ্নের মত জেগে আছে।
চামড়ার গন্ধ আমার চারপাশে,
তোমার পুরুষ দেহ
ছিঁড়ে নিতে চাইছে সমস্ত সম্ভাবনা
আগুনে মুখ ঢেকে আছি।
ছায়া ছায়া ভান সরে গিয়ে
আমার ঠোঁট উড়ে যাচ্ছে
আরও ফাঁকের দিকে...
রাত মাখে ফিকে রং
অবন্তিকা পাল
দেখি তার গলার ভেতর থেকে এক টুকরো রুদ্ধশ্বাস উঠে আসে বাতাসে।
যেসব দূরত্বের কাছে আমি তীব্র অসহায়
তার পায়ে ফেলে ফেলে আসি স্থিতি, তরঙ্গ
সম্পর্কের অভিধামালা
তবে এইখানে স্থান দাও। হে বটবৃক্ষ
নুয়ে পড়া শাখার আরামে হেলান দিয়ে
সূর্যাস্ত দেখি কিয়ৎকাল।
মুহূর্তই যদি হবে
তবে বিলম্বিত-বন্দিশের আগে কেন এ দীর্ঘ আলাপ-চারিতা?
দেখি তার শুভ্র বল্কলের নিচে ত্বক
তারও নিচে পাঁজর আর
অচিন পাখিটি খুব যন্ত্রণায় ডানা ঝাপ্টায়
ওকে তুমি ফল দাও,
নিতান্ত দুচারবেলা জল
অথচ
শেষের শেষের পরে
যেখানে শুরুর ইঙ্গিত --
দ্যাখো, সেই রাতের আকাশ জুড়ে পূর্ণগ্রাস গ্রহণ ছেড়ে গিয়ে
কী হুলস্থূল হাওয়াই না দিচ্ছে আজ!
শর্ত
প্রিয়াঙ্কা চৌধুরী
“শব্দহীন হও, শষ্পমূলে ঘিরে রাখো আদরের সম্পূর্ন মর্মর।
লেখো আয়ু, লেখো আয়ু”
- আহা, শব্দহীন বাঙময়তার বৃক্ষরোপণ হয় কোন অতলে
স্তব্ধ আয়ু বক্ষ জুড়ে স্পন্দনে কতটা গতি তোলে!
প্রচন্ড ইচ্ছে করে, এই শব্দ, এই অক্ষর –
আর যা কিছু এই কাব্যময়তার রন্ধ্রে গচ্ছিত আছে,
গোধূলির আলোয় যদি একবার তোমার দৃষ্টি বিনিময় হত তার সাথে!
কিন্তু তুমি ‘অঘোষিত’ শব্দজালে গেঁথেছ সময়
বৃদ্ধাশ্রমে পাঠিয়েছ আমার যুবক বৃদ্ধ কে
বছরে এক আধবার সৌজন্য সাক্ষাতের ও যদি আগ্রহ দেখতাম...
আয়ু লিখে আয়ু লিখে শব্দহীন তোমায় শষ্পমূলে ঘিরে রাখতাম।
ভাপ
শুভদীপ সেনশর্মা
মৃতদেহ পুড়ে গেছে
মৃতদেহের ছাই থেকে উড়ে আসছে
জীবন
জীবন ভেসে আসে
জীবন ভেসে যায়
ছুটে চলে অপরিকল্পিত চেতনা সংলাপ